তামান্না হাবিব নিশু: ‘‘ক্রমাগত যখন নিজের দেহ, নিজের গায়ের রং, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, বিদ্রুপ করা হয়, তখন মনে হতে থাকে, জনতার সামনে যেন নগ্ন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।’’
তিনি নাকি বিজয় দেবেরাকোন্ডার প্রেমিকা। রশ্মিকা মান্দানা, ইনস্টাগ্রামে ছোটবেলার ছবি দিলেও সরাসরি তাঁকে ‘যৌনকর্মী’ বলে আক্রমণ করা হয়। তিনি ‘হট প্যান্ট’ পরলেও ট্রোলের শিকার, শাড়ি পরলেও।
ঘৃণ্য মন্তব্য করা হয় তাঁর শরীর নিয়ে। একটানা নেতিবাচক মন্তব্য উপেক্ষা করতে না পেরে রশ্মিকা সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘ক্রমাগত যখন নিজের দেহ, নিজের গায়ের রং, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, বিদ্রুপ করা হয়, তখন মনে হতে থাকে, জনতার সামনে যেন নগ্ন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।’’
কিন্তু রশ্মিকা মানেই এখন বক্স অফিসে সাফল্য, একের পর এক সুপারহিট সিনেমা। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে রশ্মিকার অনুরাগীর সংখ্যা। রশ্মিকাকে একটি বার সামনে থেকে দেখার জন্য ৯০০ কিলোমিটার দূর থেকে কর্ণাটকে এসেছিলেন এক অনুরাগী। তা হলে? বুধবার ইনস্টাগ্রামে মনভাঙা এক লেখা লিখেছেন রশ্মিকা।
তিনি লিখেছেন, ‘‘সকলকে আমায় পছন্দ করতে বলছি না। সমালোচনা আসুক, কিন্তু সেটা আমার কাজ ঘিরে হোক।’’ তিনি জানান সম্প্রতি এমন কিছু সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে যেখানে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে, যা শুধু তাঁর বিরুদ্ধেই যাচ্ছে না, ইন্ডাস্ট্রিতে সহকর্মীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও নষ্ট করছে।
যা তিনি বলেননি তাই লেখা হচ্ছে! অভিনেত্রীর কর্মজীবন নয় তাঁর পরিবার, প্রেম, সম্পর্ক সব কিছুকেই বড় বেশি ঘৃণার চোখে দেখা হচ্ছে। তিনি শঙ্কিত! মানসিক অবসাদ হয়তো তাঁকে ঘিরে ফেলছে। কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন তিনি। তিনি জানান, অনুরাগীদের ভালবাসা, উৎসাহই তাঁকে কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তিনি লিখেছেন, ‘‘সকলকে আনন্দ দিয়ে নিজে আনন্দের সঙ্গে কাজ করতে চাই আমি। দয়া করে মন থেকে ঘৃণা সরিয়ে দিন। আমরা বরং ভাল কাজ করার কথা ভাবি।’’ রশ্মিকা মান্দানা, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ়’-এর নায়িকা হিসেবেই জনপ্রিয়তার শিখরে। পাশাপাশি তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব সকলের নজর কেড়েছে।
আত্মবিশ্বাসই রশ্মিকার এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র। ২০১৬ সালে কন্নড় ছবিতে অভিনয় করে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রশ্মিকা এবং খুব শিগগির বলিউডে সিদ্ধার্থ মলহোত্রর বিপরীতে অভিনয় করবেন ‘মিশন মজনু’ ছবিতে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.